পুষ্কর দাশগুপ্ত: ভলতের ও ভারত
PUSHKAR DASGUPTA: VOLTAIRE O BHARAT
Pushkar DASGUPTA: Voltaire et l’Inde
Pushkar DASGUPTA: Voltaire and India
ভলতের ও ভারত
১৭৬৭ সালে তিয়াত্তর বছরের ভলতের একটি চিঠিতে লিখেছিলেন ‘ইয়োরোপের ঔদ্ধত্যে আমি ক্লান্ত। শক্তি আর স্বাস্থ্যফিরে পেলেই আমি ভারতে পাড়ি দেব।’ (Je suis las de l’impertinence de l’Europe. Je partirai pour l’Inde quand j’aurai de la santé et de la vigueur.) ৷’ না, ভলতের শেষ পর্যন্ত কখনো ভারতে আসতে পারেন নি, তবু জ্ঞানালোকের মূর্ত প্রতীক এই দার্শনিকের ভারত সম্পর্কে মনোযোগ আর আগ্রহ তাঁর জীবনের শেষ অব্দি অব্যাহত ছিল। ভারতের ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে তাঁর মনে হয়েছিল ‘পাশ্চাত্য তথা উত্তরের বর্বররা যখনই ভারত সম্পর্কে যৎকিঞ্চিৎ জানতে পারল তখনই ভারত হয়ে উঠল তাদের ধনলালসার লক্ষ্য। আবার এই বর্বরগুলি যখন সভ্য আর শিল্পোন্নত হয়ে উঠল তখন নতুন নতুন চাহিদার তাগিদে ভারত আরো অধিক থেকে অধিকতর ভাবে তাদের লালসার লক্ষ্যে পরিণত হল।(Dès que l’Inde fut un peut connu des barbares de l’Occident et du Nord, elle fut l’objet d leur cupidité, et le fut encore davantage, quand ces barbares devenus policés et industrieux, se firent de nouveaux besoins.) ৷ ’‘…ভারত যাকে পৃথিবীর প্রয়োজন, একমাত্র যার আর কাউকেই প্রয়োজন নেই ।(…l’Inde, de qui toute la terre a besoin, et qui seule n’a besoin de personne…)’ — ভলতের–এর এই উক্তির মধ্যে হয়তবা কিছুটা অতিশয়োক্তি রয়েছে বলে বোধ হতে পারে, কিন্তু এই উক্তি ভারত সম্পর্কে তাঁর শ্রদ্ধা মিশ্রিত মনোযোগের পরিচায়ক অষ্টাদশ শতকের ইয়োরোপে ভারত সম্পর্কে এই আগ্রহ অনন্য। তাঁর মনে হয়েছিল: ‘…জ্যোতির্বিজ্ঞান, ফলিত জ্যোতিষ, জন্মান্তরবাদ ইত্যাদি…সব কিছুই আমাদের কাছে এসেছে গঙ্গার তীর থেকে… (…tout nous vient des bords du Gange, astronomie, astrologie, métempsycose, etc….) ৷’
PUSHKAR DASGUPTA VOLTAIRE ET L’INDE ভলতের ও ভারত VOLTAIRE AND INDIA
সুন্দর !