হোয়ান রামোন হিমেনেথ Juan Ramon Jimenez (1881-1958)

হোআন রামোন হিমেনেথ 

Juan Ramon Jimenez (1881-1958)

jimenez

নিকারাগোআর কবি রুবেন দারিও(১৮৬৭১৯১৬) নেতৃত্বে স্প্যানিশ ভাষার আধুনিকতার(Modernismo) আন্দোলনের শুরু, এবং ক্রমশ তা ছড়িয়ে পড়ে মূল স্পেনে। কবি (Juan Ramon Jimenez, ১৮৮১১৯৫৮) অল্পবয়সে এ আন্দোলনে যোগ দিয়ে আন্দোলনের অন্যতম অগ্রণী কবি হিসেবে গণ্য হন। ফরাসি প্রভাবিত আধুনিকতার চর্চায় হিমেনেথ যথার্থ ইস্পানি ঐতিহ্য আর চরিত্রের মিশ্রণ ঘটান।

রুবেন দারিওর আন্দোলনের প্রভাবেই হিমেনেথের প্রথম দিকের কবিতা কিছুটা অতিপরিশীলিত। এরপর ক্রমশ তাঁর কবিতা অলংকারবাহুল্য ত্যাগ করে সঙ্গীত ও রহস্যের অভিমুখী হতে থাকে। এপ্রসঙ্গে তাঁর লগ্নকবিতা‘-র স্বীকারোক্তি স্মরণীয়। আর তিনিইতো বলেছিলেন, ‘কবিতা হবে একটা তারার মত, পুরো একা জগৎ আর দেখতে হিরের একটা টুকরোর মতো

তাঁর কাব্যকৃতির সঙ্গে সঙ্গে হিমেনেথ ক্রমে স্প্যানিশ কবিতার অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন; তাঁকে ঘিরে একটা সাহিত্যিক পরিমণ্ডল গড়ে ওঠে। পরবর্তী ইস্পানি কবিদের রচনায় হিমেনেথএর কমবেশি আন্তঃরাচনিক উপস্থিতি অনুভব করা যায়।

স্পেনে গৃহযুদ্ধ চলা কালে অনেকের মত হিমেনেথও দেশ ছেড়ে আমেরিকায় গিয়ে আশ্রয় নেন। হিমেনেথের কবিতার পরিণতির ইতিহাসে এই দেশত্যাগ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় থেকে তাঁর কবিতা গভীর এক উপলব্ধিময় দার্শনিকতার পটভূমিতে স্থাপিত হয়, যার মধ্যে ফিরে ফিরে আন্দালুথিয়ার প্রাকৃতিক পরিবেশের স্মৃতিচিত্র ।

হিমেনেথের শেষের দিকের কবিতায় বিশ্বময় সর্বব্যাপ্ত প্রাণময়তার বোধের প্রকাশ দেখা যায়। স্বভাবতই রবীন্দ্রনাথের কথা মনে পড়ে। উল্লেখযোগ্য যে, হিমেনেথ স্প্যানিশ ভাষায় রবীন্দ্রনাথের অনুবাদে স্ত্রীর সহযেগিতা করেন। মনে পড়ছে, শ্রদ্ধেয় পিয়ের ফালোঁ বলেছিলেন, ইউরোপের বিশ শতকের প্রধান কবিদের মধ্যে একমাত্র হিমেনেথের রচনাতেই রবীন্দ্রনাথের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।

বহুকাল আগে হিমেনেথএর কবিতা পড়তে পড়তে কিছু কবিতার অনুবাদ করি। আমি স্প্যানিশ জানিনা, আমার পড়া আর অনুবাদ তাই হিমেনেথএর ফরাসি আর ইংরেজি অনুবাদের অনুবাদ অর্থাৎ পরোক্ষ অনুবাদ। কখনো সখনো ফরাসি অনুবাদের পাশে স্প্যানিশ মূল কবিতা দেখতে চেষ্টা করেছি, কিন্তু স্প্যানিশ ভাষায় আমার কোনো বিধিবদ্ধ জ্ঞান না থাকায় তাকে কোনো গুরুত্ব দেওয়া যায় না।

এছাড়া যেসব সংকলনে কবিতাগুলি ছিল তাও আমার হাতের কাছে আজ আর নেই, আমার স্মৃতিতেও তাদের পরিচয় মুছে গেছে ফলে কোনো রকম সংশোধন বা পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি। তবু পুরনো একটা খাতায় একসঙ্গে অনূদিত রচনাগুলি পেয়ে পাঠকের সামনে তা তুলে ধরার ইচ্ছে হল।

পুষ্কর দাশগুপ্ত

হোয়ান রামোন হিমেনেথএর কবিতা

১.

কেউতো ছিল না। জল।— কেউ নয় ?
জল তবে কেউ নয় ? — কেউ
নয়। আছে ফুল। — কেউ নয় ?
ফুল তবে কেউ নয় ? — কেউ নয়।

ছিল হাওয়া। — কেউ নয়?
কেউ নয় হাওয়া ? – কেউ
নয়। মুগ্ধমায়া। – কেউ নয় ?
মুগ্ধমায়া কেউ নয় তবে ?

 

২. সঙ্গীত

সহসা, ঝর্ণার মতো
বিদীর্ণ বুকের থেকে
আবেগ-উচ্ছল ধারা ভেদ করে ছায়া —
একটি নারীর মতো
বারান্দার জানলাগুলি খুলবে যে দীর্ঘশ্বাস ফেলে, তেমনি
নগ্ন সে যে, নক্ষত্রপুঞ্জের দিকে চেয়ে থাকে
অকারণ মৃত্যুর ইচ্ছায়,
যেই মৃত্যু হবে তার উন্মাদনা, অনন্ত জীবন।

 

অথচ সে ফিরে আর আসেনা আবার,
—নারী কিংবা জল —
যদিও সে আমাদেরই গভীরে রয়েছে, উচ্ছ্বসিত,
সত্য ও অলীক
স্তব্ধ হতে পারে না, কখনো।

 

৩.

— দাঁড়াও, দাঁড়াও আলো
— আর আমি ছুটে যাই, উদগ্রীব, উন্মাদ —
দাঁড়াও, দাঁড়াও আলো !
— সে দাঁড়ায়, আর যেই আমি
ছুঁতে যাই সীমারেখা তার, অমনি সে আঁধার,
শীতল। —

 

দাঁড়াও, দাঁড়াও, আলো !
—আর আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি শিশুর মতন
একা একা কাঁদি, তাকে দেখিনা যখন;
দাঁড়াও… দাঁড়াও… আলো। —

 

৪.

আমি জানি কাণ্ড আমি
অনন্ত বৃক্ষের।
আমি জানি আমার রক্তের মধ্যে
বাঁচিয়ে রেখেছি আমি তারাদের।
প্রতিটি উজ্জ্বল স্বপ্ন
আমারই নিজস্ব পাখি…
আমি জানি মৃত্যুর কুঠার
আঘাতে লুটিয়ে দেবে আমাকে যখন
ভেঙে পড়বে আকাশ তখনি ।

 

৫. ক্ষণিক

হারিয়ে ফেলছি, হারিয়ে ফেলছি, হারিয়ে ফেলছি তাকে !
… সেতো চলে গেল !
আর ক্ষণিকের সাথে
হারিয়ে ফেলেছি অনন্তকাল আমি ।

 

৬. সঙ্গীত

শান্ত রাত
পবিত্র কোমল সুর, বৃষ্টিধারা তুমি
বাঁচিয়ে রেখেছো ঐ তারাদের
– যেন পদ্মগুলি এক অতল আধারে।

 

৭. ভোর

ঠান্ডার শুরু: মোরগ ডাকছে।
বজ্র জ্যোত্স্না: শিশুটি কাঁদছে।
নির্জন পথ: কুকুর ছুটছে।
রাত্রি এখনো: মানুষ ভাবছে।

 

৮.

কুয়োয় নুড়ির মতো
পড়ে আছে আমার হৃদয়, ঠিক তার
নিচে আর ওপরে আকাশ।

 

৯. মোগেরে ভোর

দেখা দেয় সঙ্গীহীন কালো ষাঁড়, উজ্জ্বল, সু্ন্দর,
শীতল সবুজ ভোরে, উঁচু নীল পর্বতচূড়ায়
ডেকে ওঠে দক্ষিণ – উত্তরে , প্রকাণ্ড মাথায় তার
ঠেলে দেয় ক্রমশ পেছনে
আকাশ, প্রাগাঢ় লাল, তখনো বিরাট কটি
তারকায় ঢাকা।

 

—আতঙ্কিত বিপুল নির্জন;
অন্তহীন নীরবতা সহসা ঘনায়।

 

ষাঁড় — ভগ্ন শিলাখণ্ড — ঢুকে পড়ে
পাতায় আবৃত গিরিপথে ।
সে ছাড়া থাকেনা কিছু,
চলে যায় ? সমন্ত আঁধার,
তখন বেরিয়ে আসে! শাদা আর গোলাপী সজ্জায় সাজা, ওই আলো।

 

১০.

স্তব্দ হলে গান
কী হয় সুরের;
যে-বাতাস থেমে যায় তার,
যে-আলোক নিভে যায়
তার ?

 

বল, মৃত্যু, নিস্তব্ধতা প্রশান্তি ও অন্ধকার ছাড়া
কীবা তুমি আর ?

 

১১.

শাদা মেঘ,
ভাঙা ডানা — কার ?
পৌঁছাতে সে পারেনি — কোথায় ?

 

১২.

ঘুম যেন সেতু
যোগাযোগ আজ আর আগামী কালের।
নীচে তার, স্বপ্নের মতন,
বয়ে যায় জলধারা, ভেসে যায় হৃদয় আমার।

 

১৩.

শুধু ঘন্টাধ্বনি আর পাখি এক শান্তিভ্ঙ্গ করে…
যেনবা দুজনে ওরা কথা বলে পশ্চিমের দিগন্ত-   সীমায়

 

স্তব্ধতা সোনায় গড়া । বিকেল বেলাটা যেন স্ফটিকে নির্মিত ।
সহসা শুদ্ধতা এসে দোলায় সুস্নিগ্ধ বৃক্ষগুলি
সমস্ত পেরিয়ে এক স্বচ্ছধারা নদী স্বপ্ন দেখে,
আর সে ছড়িয়ে মুক্তো ছুটে যায় অসীমের দিকে …

 

নির্জনতা ! নির্জনতা ! সবকিছু উজ্জ্বল, নীরব…
শুধু ঘন্টাধ্বনি আর পাখি এক শান্তিভঙ্গ করে …

 

প্রেম বহু দূরবর্তী… শান্ত, উদাসীন,
হৃদয় সম্পূর্ণ মুক্ত; বিষণ্ণ বা উল্লসিত নয়;
তাকে আলোড়িত করে রঙ, হাওয়া, গন্ধ আর গান…
সে যেন সাঁতার কাটে চেতনায় অবারিত হ্রদে।

 

শুধু ঘন্টাধ্বনি আর পাখি এক শান্তি ভঙ্গ করে …
মনে হয় করতলে আমি অনন্তকে ধরে রাখতে পারি ।

 

১৪. জন্মাবো আবার

শিলা হয়ে জন্মাবো আবার
আর তখনো তো আমি ভালোবাসব তোমাকেই , নারী।

 

হাওয়া হয়ে জন্মাবো আমার,
আর তখনো তো আমি ভালোবাসব তোমাকেই , নারী।

 

ঢেউ হয়ে জন্মাবো আবার,
আর তখনো তো আমি ভালোবোসব তোমাকেই , নারী।

 

শিখা হয়ে জন্মাবো আবার,
আর তখনো তো আমি ভালোবোসব তোমাকেই , নারী।

 

নর হয়ে জন্মাবো আবার,
আর তখনো তো আমি ভালোবাসব তোমাকেই , নারী।

 

১৫.

আমি নই আমি।
আমি সে, যে
আমার অলক্ষ্যে হাঁটে আমার পাশেই ,
যাকে আমি কখনোবা দেখতে চাই ,
যাকে আমি কখনোবা ভুলে যাই।
সে থাকে নীরব, শান্ত যে সময়ে আমি কথা বলি ;
সে বিনয়ে ক্ষমা করে যে সময়ে আমি ঘৃণা করি ;
সে যায় যেখানে আমি নেই ,
সে থাকবে দাঁড়িয়ে ঋজু মৃত্যু হবে যখন আমার।

 

১৬. গাছের শীর্ষ ঘিরে

একটি উঁচু গাছের
শীর্ষ ঘিরে
উড়ছে আমার স্বপ্নগুলি সব।
স্বচ্ছ আলোর মুকুট-পরা
কপোত ওরা
উড়তে উড়তে ছড়িয়ে দিচ্ছে গান।

 

একটি গাছের শীর্ষ থেকে
কেমন যাওয়া-আসা।
আমায় এমন সোনার জালে জড়িয়ে ফেলে ওরা !

 

১৭. আলো আর জল

মাথার ওপরে আলো – স্বর্ণময়, কমলা, সবুজ –
কুহেলি মেঘের মাঝখানে ।

 

পত্রহীন হে বৃক্ষেরা,
জলের গভীরে মূল
শাখাগুলি ছড়ানো আলোয় !

 

নিচে, জল, — সবুজ, কমলা, স্বর্ণময় —
কুহেলি ধোঁয়ার মাঝখানে।

 

কুহেলি ধোঁয়ার মাঝে — কুহেলি মেঘের মাঝখানে
আলো আর জল — কীযে জাদু !—সহসা মিলায়।

 

১৮.

বিকেলের পথগুলো সব
একাকার হয়ে যায় রাতে।
সংগোপন ওপথ ধরেই
প্রেমিকা, তোমার কাছে যাবো।

 

ওপথে তোমার কাছে যাবো,
পর্বতের আলোর মতন,
সমুদ্রের হাওয়ার মতন,
কুসুমের গন্ধের মতন।

 

১৯.শীতের দৃশ্য: তুষার

কোথায় কোথায় আহা সব রঙ লুকিয়েছে তারা
কালো আর সাদা এই পরিম্লান দিনে ?
পাতাগুলি কালো ; জল, ছাইরঙ ; আকাশ ও মাটি
মৃত্যুর মতন এক শাদা আর কালো বিবর্ণতা ;
আর এই বিষণ্ণ শহর
শুধু এক পুরনো খোদাই-করা রোমান্টিক ছবি।

 

পথচারী মানুষেরা কালো ;
কালো, ঐ ভয়ার্ত পাখিটি
তীরের গতিতে যেবা উড়ে যায় বাগান পেরিয়ে ,
এমনকী স্তব্ধতাও বিবর্ণ , কঠিন।

 

সন্ধ্যা নামে। আকাশে
কোথাও কোনো কোমলতা নেই। আর এই সূর্যাস্তে এখন
নীলাভ হলুদ এক আলো, খুবই ম্লান
কিংবা ঠিক আলো নয়। দূরে গ্রাম
জংধরা লোহার তৈরী।
রাত্রি আসে। যেন
এক শবযাত্রা। সবকিছু শোকার্ত,
শীতল, কোথাও তারারা নেই, শাদা
আর কালো এই দিনের মতন : শাদা আর কালো।

 

২০. নব বসন্ত

রক্তিম জলের বুকে
একজোড়া রাজহাঁস পাশাপাশি কাটছে সাঁতার…
যন্ত্রণা সাঁতার কাটে শোণিতে আমার।

 

রক্তিম বাতাসে
পাশাপাশি একজোড়া গোলাপ ব্যাকুল…
যন্ত্রণা ব্যাকুল হল শোণিতে আমার।

 

রক্তিম আকাশে
পাশপাশি একজোড়া শ্যামাপাখি শিস দিয়ে ওঠে…
যন্ত্রণাও শিস দেয় শোণিতে আমার।

 

২১.
আমার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছো তুমি
অথচ আমিযে তোমার কথাই ভেবে
তোমাকেই যাই ভুলে।

 

২২. পরম গোলাপ

তুলে নাও ওকে ! তোল ওকে , ওই যে গোলাপ !
না না, ওতো সূর্য !

 

অগ্নির গোলাপ,
স্বর্ণের গোলাপ,
পরম গোলাপ !

 

না না, ওতো সূর্য !

 

দীপ্তির গোলাপ,
স্বপ্বের গোলাপ,
পরম গোলাপ।

 

 

না না, ওতো সূর্য !

তুলে নাও ওকে ! তোল ওকে , ওই যে গোলাপ !

 

২৩. দূরের সমুদ্র

ঝর্ণার গান ক্রমশ মিলিয়ে যায়।
পথগুলি সব জেগে ওঠে একে একে…
রূপোলি সাগর, ভোরের সাগর, তুমি
কিযে পবিত্র ঝাউয়ের বনের ফাঁকে !

 

দক্ষিণ হাওয়া, এলে তুমি ধ্বনিময়
রৌত্রের সাথে ? দৃষ্টি হারালো পথ…
দুপুরে সাগর, সোনালি সাগর, তুমি
কিযে উচ্ছল ঝাউবন পার হয়ে !

 

সবুজ পাখিটি বলছে অজানা কিছু…
হৃদয় আমার পথ ধরে চলে যায়…
বিকেলে সাগর, গোলাপী সাগর, তুমি
কিযে প্রশান্ত ঝাউয়ের বনের ফাঁকে !

 

২৪. প্রাক্-বসন্ত

নদীর বুকে বৃষ্টিধারা ঝরে…

 

সবুজ ঐ নদীর পারে
গন্ধময় নলের বন
বৃষ্টিপাতে কাঁপে…
কেমন এক আকুল ঘ্রাণ
শীতল পাপড়ির !

 

নদীর বুকে বৃষ্টিধারা ঝরে…

 

আমার এই নৌকাখানি
স্বপ্ন যেন, স্বপ্নে গড়া
আবছা পৃথিবীতে। ওগো সবুজ তীর
হালছাড়া হে নৌকা ওগো
শীতল অন্তর !

 

নদীর বুকে বৃষ্টিধারা ঝরে…

 

২৫. রাত্রি

আমার অশ্রুর ফোঁটা এবং তারকা
ছুঁলো পরস্পরে ; মুহূর্তেই
দুয়ে মিলে হয়ে গেলো একটি অশ্রুর ফোঁটা
দুয়ে মিলে হয়ে গেলো একটি তারকা।

 

আমিতো হলাম অন্ধ, এবং আকাশ
অন্ধ হলো প্রেমে।
যাকিছু — সমস্ত — হোল
তারকার মর্মব্যথা, অশ্রুর আলোক।

 

২৭. ছোট্ট সবুজ মেয়ে

সবুজ মেয়েটি। তার
সবুজ দুচোখ, সবুজ চুলের বেণী।

 

তার বাগানের গোলাপের কুঁড়ি
সেতো লাল নয় সেতো শাদা নয় সবুজ সবুজ সেযে।

 

সে বেরিয়ে এলো সবুজ হাওয়ায় !
পৃথিবী সবুজ হল।

 

উজ্জ্বল তার রেশমী পোষাক
সেতো লাল নয় সেতো নীল নয় সবুজ সবুজ সেযে।

 

সে বেরিয়ে এলো সবুজ সাগরে !
আকাশ সবুজ হোল।

 

আমার জীবন বারবার তাকে
খুলে দেয় এক ছোট্ট সবুজ দ্বার।

 

২৮.

কবিতা ; শিশিরবিন্দু
প্রতিটি ঊযার, শিশু
প্রতিটি রাত্রির ; প্রথম ফুলের ঐ
কোমল সত্যের ঊর্ধ্বে
সতেজ, নির্মল সত্য অমল
দূরতম নক্ষত্রপুঞ্জের !

 

শিশির, কবিতা ;
প্রত্যূষের ফোঁটাগুলি স্বর্গ থেকে পৃথিবীর বুকে !

                                            অনুবাদ: পুষ্কর দাশগুপ্ত বিস্তারিত পড়ুন